মাইগ্রেন____?মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেন হলে
মাইগ্রেন এক ধরনের মাথাব্যথা যা অত্য- কষ্টদায়ক। শতকরা প্রায় ২০ ভাগ লোক কোন না কোন সময়ে এই ধরনের মাথাব্যথায় ভূগে থাকেন। যাদের মাইগ্রেন নেই তারা ধারনাও করতে পারবেন না কতটা কষ্টদায়ক এই রোগ। মাইগ্রেন কথাটির অর্থ আধা মাথা ব্যথা। প্রচণ্ড মাথাব্যথার সাথে বমিও হতে পারে। মাইগ্রেন ব্যথার উপসর্গঃ মাইগ্রেনব্যথার সাথে বহু ধরনের উপসর্গ থাকতে পারে। এর মধ্যে প্রাধান হচ্ছে, চোখ অস্বচ্ছ দেখা, চোখের সামনে ছোট ছোট আলোর বিন্দু দেখা, বমি বমি ভাব, মাথার ভিতরে ধপ ধপ করা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন
মাইগ্রেন ব্যথার কারণঃ মাইগ্রেন মাথাব্যথার সঠিক কারণ আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি তবে, বলা হয়ে থাকে যে, ব্রেনের ভিতরে রক্তবাহী নালীসমূহ কোন কারণে সংকুচিত হয়। এটা হলে মস্তিস্কে রক্ত চলাচলের তারতম্যের জন্যই এই প্রচণ্ড ধপ ধপ করে মাথাব্যথা শুরু হয়। বমি না হওয়া পর্য- এই ব্যথা কমে না। মাইগ্রেন মাথাব্যথা একবার শুরু হলে কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্য- একাধারে চলতে পারে। এমন কি, স্বাভাবিক কাজ বা পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আমেরিকাতে কাজ থেকে ছুটি নেওয়ার সব চেয়ে বড় কারণ মাইগ্রেন।
মাইগ্রেন ব্যথা হওয়ার আগেঃ যাদের মাইগ্রেন ব্যথা আছে, তাদের অনেকগুলো পূর্বাভাস ব্যথা ওঠার আগে অনুভূত হতে পারে। টেনশন, পরীক্ষা বা চাকুরির অত্য- চাপ, মানসিক অশাি-, বাস বা গাড়ীতে অনেকক্ষণ যাত্রা করা, মহিলাদের বেশীক্ষণ গরমে রান্না ঘরে থাকা, মাসিকের সময় ইত্যাদি নানাবিধ কারণে মাইগ্রেন শুরু হতে পারে। সাধারণ মাইগ্রেন হলে সাধারণতঃ খুব বেশী মাথাব্যথা হয় না। বমি ভাব থাকতে পারে। ক্লাসিক মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে ব্যথা শুরু হওয়ার আগেই রোগী বুঝতে পারে যে, ব্যথা আসবে, কেউ কেউ চোখের সামনে আলোক বিন্দু দেখতে পান। আলো বিন্দুগুলো চোখের সামনে কাঁপতে থাকে এবং ধীরে ধীরে বড় হয়। কারো শরীরের একটা অংশ অবশ লাগতে পারে। এই ধরনের মাইগ্রেন যাদের থাকে, তাদেরপ্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে, বমি হয় এবং ব্যথা ২-৩ ঘন্টা বা তারও বেশী সময় থাকে। জটিল মাইগ্রেন যাদের হয়, তাদের মাথাব্যথার সাথে অন্যান্য নিউরোলজিক্যাল উপসর্গ দেখা যায়। গুচ্ছ মাইগ্রেন সব মাথাব্যথা থেকে বেশী গুরুত্বর। প্রচণ্ড মাথা ব্যথার সাথে সাথে নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ দিয়ে পড়া, গাল লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ থাকে। কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন এই ব্যথা চলতে থাকে। কখনও এক বা দুই সপ্তাহ প্রচণ্ড মাথাব্যথা থাকে এবং রোগী ব্যথায় ছট ফট করেন বা ঘুম থেকে সকালে উঠেই ব্যথা শুরু হয়।
মাথা ব্যথার কারণ ও লক্ষণঃ- মাথাব্যথা এমন একটি ব্যাপার যার সঙ্গে আমরা কম-বেশী সবাই পরিচিত। সাধারণত মানসিক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, জ্বর, উচ্চরক্তচাপ বা চোখের দৃষ্টিশক্তি ত্রুটিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যেই মাথাব্যথার অভিযোগ বেশী লক্ষ্য করা যায়। কোনও কোনও অধিক সচেতন ব্যক্তি মাথাব্যথা উপশমের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ক্রমান্বয়ে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধও খেয়ে থাকেন। এমনটি কখনোই যুক্তিযুক্ত নয় বরং তা স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর ক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। মাথাব্যথা যেমন সাধারণ কোনও কারণে হতে পারে, তেমনি কোনও জটিল রোগের উপসর্গ হিসেবেও মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। মাথাব্যথার কারণ ও লক্ষণঃ- মাথাব্যথা কেন হয় এর প্রকৃত কারণ এখনও অজানা। তবে মস্তিষ্কের আবরণ ডুরা ম্যাটার, পায়াম্যাটার এবং ডুরাল সাইনাস ও ফক্স সেরিব্রেরির রক্তনালিগুলো ব্যথা সৃষ্টির জন্য খুব সংবেদনশীল। যে কোনও কারণ যেমন মানসিক উত্তেজনা, মাথার মধ্যে টিউমার, রক্তচাপ, স্নায়ুতন্ত্রের রোগ ইত্যাদি কারণে এগুলো বড় হলে বা স্ফীত হলে, টান পড়লে বা স্ট্রেচড হলে অথবা বেঁকে গেলে বা বেন্ড হলে এবং উত্তেজিত হলেই মাথাব্যথা হয় বলে ধারণা করা হয়। তবে মস্তিষ্কের অন্যান্য টিস্যু, সেরিব্রাল ভেন্ট্রিকেলস ও করয়েড পে¬ক্সাস ব্যথার জন্য সংবেদনশীল নয়।
চিন্তাজনিত মাথাব্যথা বা টেনশন হেডেকঃ-শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ মাথাব্যথাই এ ধরনের হয়ে থাকে। বিভিন্ন রকমের মানসিক অশান্তি, অত্যধিক চিন্তা, হতাশা, অবসাদ, বিষন্নতা, কোনও কিছু প্রপ্তিতে বা সাফল্য অর্জনে ব্যর্থতা ইত্যাদি নানা কারণ এ জাতীয় ব্যথার উদ্রেক করে। এর লক্ষণগুলো হল- ১। সম্পুর্ণ মাথায় বা ঘাড়ে, কপালের দুপাশে, মাথার তালুতে চাপ দিলে ব্যথা হয় অথবা মাথাটা ভারি ভারি লাগে।
২। ব্যথা কয়েক মাস হতে কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
৩। এ ব্যথার ওপর বংশগতির কোনও প্রভাব নেই।
৪। ব্যথার সময় বমি হয় না।
৫। কোনও ওষুধে এ ব্যথার উপশম হয় না। এমন অবস্থায় রোগীকে অবশ্যই অধিক চিন্তা বা মানসিক অশান্তির কারণ খুঁজে বের করে সেটি হতে মুক্ত করতে হবে।
জ্বরে মাথাব্যথাঃ-চিন্তাজনিত মাথাব্যথার পর ভাইরাস জ্বরে মাথাব্যথাই বেশি লক্ষ্য করা যায়। আজকাল ভাইরাস জ্বরে মাথাব্যথা একটি সাধারণ উপসর্গ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, মেনিনজাইটিস, এনকেফালাইটিস ইত্যাদি অসুখে অনেকের জ্বরের সঙ্গে তীব্র মাথাব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে।
রক্তনালী সংক্রান্ত মাথাব্যথাঃ-মাইগ্রেন, টেম্পোরাল বা ক্লাস্টার হেডেক, রক্তনালী প্রদাহজনিত মাথাব্যথাই এ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। তবে এদের মধ্যে মাইগ্রেনই বেশী লক্ষ্য করা যায়। মাথাব্যথা হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো পরিলক্ষিত হয়।
১। তীব্র মাথাব্যথা যা কি-না খোঁচা দিচ্ছে বা আঘাত করছে এমন মনে হয়।
২। সাধারণত মাথার যে কোনও একদিকে, অল্প সময়ের জন্য এবং কিছুদিন পরপর অনুভূত হয়।
৩। মাথাব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব ও বমি হয়।
৪। এ ব্যথা সাধারণত বংশগত হয়।
৫। অনেকক্ষণ ধরে টিভি দেখা, বেশি ভ্রমণ করা, ঠাণ্ডা বা গরম কিছু খাওয়া, অত্যধিক সূর্যশ্মি বা অত্যধিক ঠাণ্ডা ইত্যাদির মাধ্যমে মাথাব্যথার সূত্রপাত হতে পারে।
৬। আবার নীরব অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম নিলে, বমি করলে, ব্যথাজাতীয় ওষুধ খেলে এ ব্যথার উপশম হতে পারে।
প্রথমে.....
আঁচিল!!!!হোমিওপ্যাথিতেই নির্মূল করা সম্ভব
আঁচিল এক ধরনের টিউমারের মত গ্রোথ। ত্বকের অংশ বিশেষ শক্ত, মোটা, খসখসে দানার মত বৃদ্ধি পায়। ভাইরাল ওয়ার্টস এইচপিভি বা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দ্বারা শরীরে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শেও এই ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট আঁচিল অন্যের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আঁচিল বা ভাইরাল ওয়ার্টস-এ চুলকায়। তখন আক্রান্ত স্থান চুলকালে বা ঘসলে এই ভাইরাস ত্বকের স্বাভাবিক স্থানেও ছড়াতে পারে। শুরুতে আঁচিলগুলো ছোট, দানারমত থাকে এবং প্রাথমিক অবস্থায় তুলে ফেলা হলে আঁচিলের সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। আজকের বিষয় জেনিটাল ওয়ার্টস। জেনিটাল ওয়ার্টস পুরুষ ও মহিলাদের এক ধরণের ভাইরাস রোগ।
আরও পড়ুন.
এ নিয়ে ভুগছেন দেশের হাজার হাজার পুরুষ ও মহিলা। বিশেষ করে মহিলারা এ ধরণের সমস্যা কারও কাছে বলতে চাননা। যেতে চাননা ডাক্তারের কাছে। মাঝে মধ্যে আক্রান্ত মহিলারা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গেলেও সবক্ষেত্রে ভালো পরামর্শ পাননা। বাংলাদেশে কত মহিলা এই ভাইরাস জনিত যৌন রোগে আক্রান্ত তার কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মহিলা এই ভাইরাসে আক্রান্ত। ২২-৩০ বছরের মহিলারা বেশী আক্রান্ত হয়। সাধারণত জেনিটাল ওয়ার্টস চিকিৎসা করে থাকেন চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞগণ। অনেক আক্রান্ত রোগীও এটা জানেননা। সব চেয়ে বড় কথা পুরুষ হোক আর মহিলা হোক প্রাথমিক অবস্থায় জেনিটাল ওয়ার্টস বা গোপন অঙ্গে আঁচিল ও আঁচিলের মতো গ্রোথ-এর ভালো চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। এইচপিভি বা হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস থেকেই জেনিটাল ওয়ার্টস সংক্রমিত হয়। বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত একশত এর বেশী ধরণের জেনিটাল ওয়ার্টস-এর সন্ধান পেয়েছেন। এসবের বেশীরভাগ সেক্সচুয়াল কন্ট্যাকটির-এর মাধ্যমে ছড়ায়। অর্থাৎ হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসে আক্রান্ত পুরুষ অথবা মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে এ ভাইরাস অন্যের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। স্বামী আক্রান্ত হলে স্ত্রীর বা স্ত্রী আক্রান্ত হলে স্বামীর এধরণের সংক্রমণ ঘটে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এইচপিভি ভাইরাস নিষ্ক্রিয় থাকে, ক্ষতির কারণ হয়না। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে জেনিটাল ওয়ার্টস নামক মারাত্মক এই ভাইরাস রোগের সংক্রমনের অন্যতম দায়ী জীবানু হচ্ছে এইচপিভি ভাইরাস এর ৬ ও ১১ সাবটাইপ। একথা ঠিক অন্যান্য হাই রিস্ক এইচপিভি ভাইরাস থেকে মহিলাদের সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকে। সাধারণত পুরুষ ও মহিলাদের নিম্নাঙ্গে এই ভাইরাস বিভিন্ন ধরণের আঁচিল ও আঁচিলের মতো গ্রোথ তৈরী করে। এক সঙ্গে অনেকগুলো লেশন তৈরী হতে পারে। সাধারণত এক্সটারনাল জেনিটাল এরিয়া, ভালবা, পেরিনিয়াম, পেরিনিয়াল স্কিন, পুরুষের নিু অঙ্গ ও টেস্টিকুলার এরিয়াতে আক্রান্ত হয় বেশী। অনেক ক্ষেত্রে অনেকগুলো লেশন বা পিন্ড তৈরী না করে বরং একটা পিন্ড, বা গ্রোথ দেখা দেয়। এই ভাইরাস মহিলাদের ক্ষেত্রে নিুাঙ্গের মসৃন মিউক্যাস মেমব্রেন বা আবরনে, পায়ুপথের চারিপাশে ও ভেতরে, মূত্রনালীতে, সার্ভিক্স ও মুখের মিউক্যাস আবরণে এধরণের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। সাধারণত জেনিটাল ওয়ার্টস-এর ক্ষেত্রে মাংসের রং-এর সাদৃশ গ্রোথ দেখা দেয়। আক্রান্ত আঁচিলগুলো লাল অথবা বাদামী ডোম শেপড অথবা মসৃন থাকে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে জেনিটাল ওয়ার্টস আক্রান্ত স্থানসমূহে সাধারণতঃ কোন ধরণের উপসর্গ থাকেনা। তবে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে এক্সটারনাল জেনিটাল এরিয়াতে সংক্রমণ ঘটলে মাঝে মধ্যে চুলকানি থাকতে পারে। তবে ইন্টারনাল ওয়ার্টস হলে সাধারণত কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়না। তবে আক্রান্ত স্থানের গ্রোথ বড় হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন- মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যথা, রক্ত ক্ষরণ এবং স্বামী-স্ত্রীর মিলনে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা না করলে অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ করে মহিলাদের আক্রান্ত স্থানগুলো ইনফেকশন হয়ে ফুলে যায়। তীব্র ব্যথা হয় এবং নানা জটিলতা তৈরী হতে পারে। তাই কোন ভাবেই এধরণের সমস্যা গোপন না রেখে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।

আঁচিল গুলো সাধারনত: শক্ত ও খসখসে (ওয়ার্টি) থাকে। শরীরে নানা ধরণের ভাইরাল ওয়ার্ট হতে পারে। সাধারনত: আঙ্গুলের পিছনের দিক, বুড়ো আঙ্গুলের সামনেরর দিক, হাঁটু, পায়ের পাতায় আঁচিল দেখা দেয়। মুখে সাধারণত পেস্নন ওয়ার্টস বেশী থাকে। যা শেভ করার সময় কেটে গিয়ে রক্ত ক্ষরণ হতে পারে। এছাড়া নখের পাশে পেরিঅঙ্গুরাল, আঁচিল, ঠোটের ওপরে ও মুখেও আঁচিল হতে পারে। আর জেনিটাল ওয়ার্টস বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড হয়। ওয়ার্টস বা আঁচিল অনেক ক্ষেত্রে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে এবং বিব্রতকর হতে হয়। বিশেষ করে কালো খসখসে বড় আকৃতির শক্ত আঁচিলের ক্ষেত্রে।

সাধারণতঃ যে কোন অভিজ্ঞ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞগণ সংক্রমণ দেখেই বলে দিতে পারেন জেনিটাল ওয়ার্টস কিনা। তবে যেসব ক্ষেত্রে নিশ্চিত রোগ সনাক্ত করা যায় না তখন বায়োপসি করার প্রয়োজন হতে পারে। জেনিটাল ওয়ার্টস এর বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা আছে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ কি ধরণের পদ্ধতি অনুসরণ করেন তার ওপর। পুরুষের জেনিটাল ওয়ার্টস চিকিৎসা যতটা সহজ মহিলাদের জেনিটাল ওয়ার্টস হলে এর চিকিৎসা বা সার্জারী অতটা সহজ নয়। যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকলে বড় ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে যখন ইন্টারনাল জেনিটাল এরিয়া আক্রান্ত হয়। তবে শতকরা ৮০-৯০ ভাগ জেনিটাল ওয়ার্টস সস্পূর্ন অপসারণ করা বা চিকিৎসা সম্ভব। শতকরা ৫-১০ ভাগ ক্ষেত্রে জটিলতা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কি ধরণের ব্যবস্থা নেন মূলত তার ওপরই নির্ভর করে নিরাময়ের সাফল্য। সাধারণত তিন ভাবে আমরা জেনিটাল ওয়ার্টস-এর চিকিৎসা করতে পারি।

আঁচিলের চিকিৎসা: প্রথম- মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট বা ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা। দ্বিতীয়- সার্জিক্যাল ট্রিটমেন্ট বা অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা। তৃতীয়- ইলেকট্রো ও আরএফ কটারি ও লেজার থেরাপি। তবে আক্রান্ত পুরুষ বা মহিলার আক্রান্ত স্থানের লক্ষণ বা উপসর্গ জেনিটাল ওয়ার্টস-এর আকার-আকৃতি ও আবস্থার ওপর নির্ভর করে কি ধরণের চিকিৎসা দিতে হবে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ক্রায়ো থেরাপি, ইলেকট্রোথেরাপি, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) থেরাপি এবং কার্বোন-ডাই অক্সাইড বা সিওটু লেজার ব্যবহার করা হয়। তবে আমি নিজে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে লেজার ব্যবহার না করার পক্ষে। মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। তাই বিশেষজ্ঞগণ সাধারণত আঁচিল বা আঁচিল সাদৃশ গ্রোথ অপসারণে বেশী গুরুত্ব দেন। তবে মেডিক্যাল চিকিৎসার মধ্যে ইমিকুইমড টপিক্যাল থেরাপি সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ট্রাইক্লোরো এসিটিক এসিড, পডোফাইলিন, ইন্টারফেরন ইত্যাদি ব্যবহারের প্রচলনও রয়েছে। আমি আগেই বলেছি জেনিটাল ওয়ার্টস এক ধরণের সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ভাইরাল ইনফেকশন। তাই এধরনের মারাÍক সংক্রমণ রোগ সহজে প্রতি রোধ করা যায়। সাধারণত অনৈতিক সংস্রব পরিহার, আক্রান্ত পুরুষ ও মহিলাদের সাথে প্রটেকশন ছাড়া মিলন পরিহার এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা উচিত এবং পাশাপাশি পুরুষ বা মহিলাদের যে কেউ আক্রান্ত হলে প্রাথমিক অবস্থায় যথাযথ চিকিৎসা করতে পারলে অবশ্যই এই যন্ত্রনাদায়ক বিব্রতকর প্যাপিলোমা ভাইরাস ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি শুধু অনুশাসন মেনে চললেই হবেনা, যথাযথ হাইজিনও মেনে চলতে হবে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে আঁচিলের চিকিৎসা করতে চায়না কেউ। ফলে আঁচিল একদিকে যেমন বড় হয় অন্যদিকে তেমনি বড় আঁচিলের চিকিৎসায় ত্বকে ক্ষত তৈরী হতে পারে। সাধারণত: কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট, ক্রায়োথেরাপি, ইলেকট্রথেরাপি, আরএফ সার্জারী অথবা সিওটু লেজার দিয়ে আঁচিলের কার্যকর চিকিৎসা করা যায়। অনেক সময় কম্বিনেশন চিকিৎসারও প্রয়োজন হতে পারে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসায় আঁচিল সম্পূর্ণ ভালো হয় এবং ভবিষ্যতে আর দেখা দেয়না। তবে অসম্পূর্ণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে আঁচিল আবার দেখা দেয়। তাই আঁচিলের যথাযথ চিকিৎসা নিতে পারলে বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আঁচিলের চিকিৎসা একমাত্র হোমিওপ্যাথিতেই নির্মূল করা সম্ভব অন্য কোনো চিকিৎসা ব্যাবস্থায় আঁচিলের কোনো চিকিৎসা নেই। প্রথমে.....
 
 
বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র
নিম্নলিখিত রোগ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দ্বারা হোমিওপ্যাথি করা যায়:
১. মাইগ্রেন
২. নাকসংক্রান্ত এলার্জি
৩. সাইনাসের প্রদাহ
৪. টন্সিলের প্রদাহ
৫. শ্বাসকষ্ট এবং হাঁপানি
৬. চুলের সমস্যা/চুল পড়া
Read More >>
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
 
     
 
 
 
কপিরাইট © ২০১৬ মো: আম্মার আব্দুল্লাহ দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । ডিজাইন এবং নির্মাতা মো: আম্মার আবদুল্লাহ