হোমিওপ্যাথি!!! কি বিজ্ঞান সম্মত?
বিজ্ঞান হল প্রকৃতি সৃষ্ট প্রকৃত জ্ঞান, যা শ্বাশত, যা অপরিবর্তনীয়, প্রকৃতির শক্তির ক্রিয়া ধারায় তা প্রকাশিত। সেই সব ঘটনা পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও সেই সব ঘটনা পরম্পরার সঙ্গে সম্পর্ক আবিষ্কারই হল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে কোন বিষয় সম্পর্কে বিধিবদ্ধ জ্ঞানই বিজ্ঞান। হোমিওপ্যাথি যে প্রকৃত বিজ্ঞান সম্মত তাতে কোন সন্দেহ নেই। রোগের ঘটনা সম্পর্কে বিধিবদ্ধ জ্ঞান হল রোগ বিজ্ঞান। ঔষধ সম্বন্ধে বিধিবদ্ধ জ্ঞানই হল ভেষজ বিজ্ঞান। আর কোন নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে রোগের আরও পড়ুন.
চিকিৎসা ও নিরাময় করার বিধিবদ্ধ জ্ঞানই হল আরোগ্য বিজ্ঞান। হোমিওপ্যাথির তত্ত্ব ও প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে রচিত হয়েছে। হোমিওপ্যাথি একটি সুসংঘটিত নিয়মতান্ত্রিক চিকিৎসা পদ্ধতি যার মূল তত্ত্ব হল সুস্থাবস্থায় কোন ঔষধ স্থুলমাত্রায় সেবন করলে মানব দেহে ও মনে যে সকল অসুস্থকর লক্ষণ প্রকাশ পায়, ঐ প্রকার লক্ষণযুক্ত প্রাকৃতিক অসুস্থতায় উক্ত ঔষধের শক্তিকৃত সূক্ষমাত্রা প্রয়োগে রোগলক্ষণ দূরীভূত হয়ে যায়। ইহা প্রাকৃতিক নীতি সম্মত।
মহাত্মা হ্যানিম্যান সুস্থ দেহে কুইনিন সেবন করে ম্যালেরিয়া হতে দেখলেন এবং কৌতুহল বশতঃ আরও অনেকগুলো ঔষধের স্থুলমাত্রা সুস্থদেহে গ্রহণ করে বুঝতে পারলেন যে, ঔষধের কৃত্রিম রোগ সৃষ্টির ক্ষমতা রয়েছে। আবার ঐ সকল ঔষধের সূক্ষমাত্রা ব্যবহার করে ঔষধের লক্ষণ দূরীভূত হওয়ার ঘটনাও স্বয়ং প্রত্যক্ষ করলেন। সুতরাং এই গবেষণা হতে প্রমান হয়, সকল শক্তিশালী ভেষজের কৃত্রিম রোগ সৃষ্টির ক্ষমতা এবং শক্তিকৃত অবস্থায় আরোগ্যকর ক্ষমতা আছে; ইহা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান ভিত্তিক। ইহা গবেষণালব্ধ সত্য, যে ঔষধ সুস্থ দেহে রোগ সৃষ্টি করতে পারে, সেই ঔষধ অনুরূপ লক্ষণবিশিষ্ট প্রাকৃতিক পীড়া আরোগ্য করতে পারে। ইহাই “Similia Similibus Curentur” – সদৃশ রোগ সৃজনক্ষম ঔষধ দিয়েই আরোগ্য সাধন সম্ভব। হোমিওপ্যাথি যে বিশুদ্ধ আরোগ্য বিজ্ঞান সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। বিজ্ঞানের সাধারণ নীতিগুলোর সঙ্গে হোমিওপ্যাথির বিধানসমূহ সম্পূর্ণ সংগতিপূর্ণ। বিজ্ঞানের যে নীতিগুলোর সঙ্গে এর সামঞ্জস্য আছে সেগুলো হলঃ
(ক) এই বিশ্ব ব্রক্ষ্মাণ্ড এক বিরাট শক্তিপিণ্ড বিশেষ। জীব ও জড় এই উভয় পদার্থে সেই শক্তি বিদ্যমান।
(খ) জড় পদার্থ হল শক্তিরই স্থুলরূপ। পদার্থ ও শক্তি আপেক্ষিক সূত্র দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে আবদ্ধ।
(গ) পদার্থকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রূপে বিভাজন করা চলে, কিন্তু ধ্বংস করা চলে না।
(ঘ) একই পদার্থের যা বৃহৎ মাত্রায় কর্মক্ষমতার ক্ষতি বা ধ্বংস সাধন করে তাহাই ক্ষুদ্র মাত্রায় উদ্দীপন করে।
(ঙ) উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়া এবং আত্মরক্ষা করার স্বতঃস্ফূর্ত প্রয়াস চালানো সজীব পদার্থের স্বাভাবিক ধর্ম।
(চ) আরোহনীতিঃ কোনরূপ অনুমান বা কল্পনার আশ্রয় না নিয়ে বাস্তব ঘটনাসমূহের পর্যবেক্ষণ, বিশ্লষণ ও ঘটনাসমূহের মধ্যে সম্পর্কের এক সাধারণ সূত্র আবিস্কার করা যা প্রতিটি ঘটনার বেলায় প্রযোজ্য এবং সেই সঙ্গে বাস্তব অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
(ছ) প্রতিটি ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। ক্রিয়া – প্রতিক্রিয়া বিরামহীনভাবে চলে।
(জ) শক্তির প্রবাহ হল কেন্দ্র হতে পরিধির দিকে। ভিতর হতে বাহিরের দিকে।

যুক্তিশাস্ত্রের আরোহনীতি ও অবরোহনীতি অনুসরণ করে ঘটনা সমূহের মধ্যে কোন সাধারণ নিয়মের আবিস্কার করা এবং তা পুনঃ পুনঃ পরীক্ষা করে তার সত্যতা ও সার্বজনীনতা যাচাই করে নেওয়ার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উপর হোমিওপ্যাথি প্রতিষ্ঠিত। আরোহনীতির মূল কথা হল ঘটনা সমূহের যথাযথ পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা, ঘটনাসমূহের পরস্পরের সম্পর্ক ও কারণ সম্পর্কে এবং সাধারণ সূত্র আবিস্কার করা যা প্রতিটি ঘটনার বেলায় প্রযোজ্য হবে। অবরোহ পদ্ধতির মূল কথা হল কোন নিয়ম যদি সাধারণভাবে এক বিশেষ শ্রেণীতে সত্য বলিয়া প্রতিয়মান হয় তবে সে শ্রণীর প্রত্যেকের বেলায়ও সে নিয়ম প্রযোজ্য হবে। হোমিওপ্যাথির বিভিন্ন ঔষধ বিভিন্ন সময়ে সেস্থ মানব দেহে প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে যে, ঐ ঔষধগুলো সর্বক্ষেত্রে একই ধরণের দৈহিক ও মানসিক লক্ষণ সৃষ্টি করে। আবার সেই ঔষধেরই সুক্ষমাত্রা সেইরূপ লক্ষণযুক্ত রুগ্ন মানুষে প্রয়োগ করলে সেই লক্ষণগুলো দূরীভূত হয়ে যায় এবং রোগী স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পায়।
উপরোক্ত আলোচনা হতে নিঃসন্দেহে প্রমান হয় যে, হোমিওপ্যাথির প্রতিটি নীতি বিজ্ঞানের নীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ। তাই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্র বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপরই প্রতিষ্ঠিত নয়, ইহা এক বৈজ্ঞানিক আরোগ্য বিজ্ঞান। প্রথমে.....
শ্রেষ্ট ভিটামিনহোমিওপ্যাথিতে শিশুদের শ্রেষ্ট ভিটামিন
শিশুদের সুস্থ, সবল ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য ভিতামিনের গুরুত্ত অপরিসীম- এ কথা সবারি জানা। হোমিওপ্যাথিতে সবচেয়ে উন্নতমানের ভিটামিন রয়েছে এ কথা অনেকেই জানেনা। ক্যালকেরিয়া ফসফরিকা (Calcarea Phosphorica) নামক ঔষধটি শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য পৃথিবীর সেরা একটি ভিটামিন। মায়ের পেট থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন- সকলেরই এই হোমিও ঔষধটি মাঝে-মধ্যে খেয়ে যাওয়া উচিত। আরও পড়ুন.
সাত দিন বা পনের দিন পরপর একমাত্রা করে খাওয়া উচিত। গর্ভকালীন সময়ে খেলে ইহা আপনার সন্তানের হাড়(bone), দাঁত (teeth), নাক (nose), চোখ (eye), মস্তিষ্ক (brain) ইত্যাদির গঠন খুব ভালো এবং নিখুঁত করতে সাহায্য করবে এবং আপনার সন্তান ঠোক কাটা (harelip), তালু কাটা (cleft palate), হাড় বাঁকা (rickets), খোঁজা (epicene), বামন (dwarfish), পিঠ বাঁকা (Spina bifida), বুদ্ধি প্রতিবন্ধি, হৃদরোগ, চমরোগ, কিডনীরোগ প্রভৃতি দোষ নিয়ে জন্মনোর হাত থেকে রক্ষা পাবে। এজন্য প্রত্যেক গর্ভবতী মায়েরই এটি সপ্তাহে বা পনের দিন পরপর একমাত্র করে কয়েক মাস খাওয়া উচিত। এটি শিশুদের নিয়মিত খাওয়ালে তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং অসুখ-বিসুখ কম হবে। ক্যালকেরিয়া ফস নিয়মিত খেলে আর টিকা (vaccine) নেওয়ার প্রয়োজন নাই। একে ধরে নিতে পারেন টিকার বিকল্প হিসেবে। এটিই শিশুদের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ট টিকা স্বরূপ। যে-সব শিশুদের মাথার খুলির হাড় (open fontanelle) ঠিক মতো জোড়া লাগেনি, তাদেরকে অবশ্যই ক্যালকেরিয়া ফস খাওয়াতে হবে। নাকের পলিপ (nasal polypus), পায়খানার রাস্তার পলিপ (anal polypus) এবং জরায়ুর পলিপ (uterine polypus) বা নরম টিউমার এই ঔষধে দুর হয়ে যায়। অবশ্য এজন্য অনেক দিন ক্যালকেরিয়া ফস খেতে হয়।
হাড় ভেঙে (breaking) গেলে কিংবা মচকে গেলে (Fracture) ক্যালকেরিয়া ফস দ্রুত জোড়া লাগিয়ে দেয়। স্বাভাবিক ভাবে ভাঙ্গা হাড় ভালোভাবে জোড়া লাগতে যদি লাগে এক বছর, তবে ক্যালকেরিয়া ফস খেলে লাগবে তিন মাস। হাড় সংক্রান্ত যাবতীয় রোগে এটি খুব ভালো কাজ করে। পিঠে ব্যথা (backache), হাটুতে দুর্বলতা ইত্যাদি সমস্যায় ক্যালকেরিয়া ফস খেতে ভুলবেন না। কিছু কিছু শিশু আছে যাদের পায়ের বিভিন্ন পেশী দুর্বল (weak Ankles) ; ফলে তাদের হাঁটা শিখতে অনেক দেরী হয়, দাঁড়ানো শিখতে দেরী হয় (delayed walking), দাঁড়াতে গেলে বা হাঁটতে গেলে টপাটপ পড়ে যায়। এসব শিশুর একমাত্র ঔষধ হলো ক্যালকেরিয়া ফস। পিঠের দুর্বলতায় (weakness of Back) ক্যালকেরিয়া ফস একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ। অনেক শিশু এবং বয়ষ্কদের দেখা যায় যে, চেয়ারে বসে কিছুক্ষণ পড়াশুনা বা কাজ করলেই পিঠে ব্যথা করতে থাকে। ইহার মানে হলো মেরুদন্ড দুর্বল। এই মেরুদন্ডের দুর্বলতায় ক্যালকেরিয়া ফস ঔষধটি খুবই উপকার দেয়। আবার কোমড় ব্যথারও (Lumbago) এটি একটি ভালো ঔষধ। অনেকের ঘাড়ের পেশী শক্ত হয়ে যায় (stiff neck), ফলে তারা মাথা ডানে-বামে ঘুরাতে পারেন না। এই রোগের একটি শ্রেষ্ট ওষধ হলো এই ক্যালকেরিয়া ফস। কোন শিশু বিরাট বড় মাথা নিয়ে জন্মালে (hydrocephalus) অথবা জন্মের পর মাথা বড় হয়ে গেলে ক্যালকেরিয়া ফস তার এক নম্বর ঔষধ। এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা এসব শিশুদের মাথা ছোট করার জন্য অনেক ঝুঁকিপূণ অপারেশন করে থাকেন, যাতে প্রচুর টাকাও খরচ হয়ে থাকে। কিন্তু কয়েক মাস ক্যালকেরিয়া ফস খেলে বড় মাথা অটোমেটিকভাবে ছোট হয়ে যায়।
রোগের কথা চিন্তা করলে যদি রোগের উৎপাত বেড়ে যায়, তবে এ্ই জাতীয় অদ্ভূত রোগে এই ঔষধ প্রযোজ্য। এটি টনসিলের সমস্যা (tonsilitis) এবং মুখের ব্রণের (acne vulgaris) সেরা ঔষধ। যাদের ঘনঘন সর্দি লাগে (frequent catarrh), তারা অবশ্যই এই ঔষধ খাবেন। ডায়াবেটিসের এটি একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। ইহা আপনার কৌষিক বিপাক ক্রিয়া (Basal Metabolism) বৃদ্ধির মাধ্যমে আপনার ডায়াবেটিস চিরতরে নিমূল করে দেবে। শিশুদের দাঁত ওঠার (dentition) সময় অবশ্যই ক্যালকেরিয়া ফস খাওয়ানো উচিত। এতে দাঁত ঠিকমতো ওঠবে এবং দাঁতের গঠন ভাল হবে ; পাশাপাশি দাঁত ওঠার সময় যে-সব অসুখ-বিসুখ হয় (যেমন-ডায়েরিয়া, বদহজম, খিচুঁনি ইত্যাদি) সেগুলো থেকে শিশু রক্ষা পাবে। যে-সব শিশু অনেক বড় হয়ে গেছে কিন' এখনও দাঁত ওঠেনি, তাদেরকেও ক্যালকেরিয়া ফস খাওয়ানো দরকার। যে-সব শিশু-কিশোরের সারা বছর মাথাব্যথা (headache) লেগেই থাকে, ক্যালকেরিয়া ফস তাদের জন্য একটি চমৎকার ঔষধ। সাধারণত শিশু-কিশোররা যখন স্কুলে যায়, তখন পড়াশুনার অত্যধিক চাপের কারণে তাদের অনেকেই মাথা ব্যথায় আক্রানত হয়। বিশেষ করে পরীক্ষা সামনে এলে এই মাথা ব্যথা বেড়ে যায় বহুগুণে। ছাত্র জীবনের মাথা ব্যথায় (school headache) ইহা একটি সেরা ঔষধ।
ক্রিটিনিজম (Cretinism) রোগের একটি চমৎকার ঔষধ হলো ক্যালকেরিয়া ফস যাতে একটি শিশু জন্মগতভাবেই হয় বেটে-খাটো, বামন (dwarf), বুদ্ধিহীন, ফোলা ফোলা মুখমন্ডল (puffy face), শুষ্ক চামড়া, মোটা জিহ্বা, বড় নাভী (umbilical hernia), পেশীর সমস্যা ইত্যাদি লক্ষণ একত্রে থাকে। আবার ঘ্যাগ বা গলগন্ড (goiter) রোগেরও ইহার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ ; যা থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কর্মক্ষমতা কমে (Hypothyroidism) যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। শিশুদের এক চোখ বা দুই চোখই যদি টেরা (Strabismus) হয়, তবে তাদের ক্যালকেরিয়া ফস খাওয়াতে পারেন। কেননা এটি টেরা চোখের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। শিশু-কিশোররা যদি ধূমপানে আসক্ত (Tobacco habit) হয়, তবে তাদের ক্যালকেরিয়া ফস খাওয়াতে থাকুন। কেননা এটি ধূমপানের নেশা দূর করতে কাযকর ভূমিকা পালন করে থাকে। কোন শিশু-কিশোরের অণ্ডকোষ বড় (swollen testicles) হয়ে গেলে, তাকে ক্যালকেরিয়া ফস খাওয়াতে হবে।
অনেক শিশুদের হজম শক্তি (assimilation) খুবই দুর্বল থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, স্বচ্ছল ফ্যামিলির বাচ্চা, প্রচুর পুষ্টিকর খাবার খায় কিন' স্বাস্থ্য ভালো হয় না। কারণ ভালো ভালো খাবার খেলেও সেগুলো শরীরে শোষিত (malabsorption) হয় না ; বরং পায়খানার সাথে বেরিয়ে যায়। লিকলিকে, হাড্ডিচর্মসার (emaciation), পাটকাঠির মতো শরীর। এসব শিশুদেরকে নিয়মিত বেশ কয়েক মাস ক্যালকেরিয়া ফস খাওয়ালে তাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং স্বাস্থের অবস্থা আমুল পাল্টে যাবে। যা-ই খাবে, তাই শরীরে শোষিত হবে। এই কারণে শিশুদের রক্তস্বল্পতা (Anemia) সমস্যায় ক্যালকেরিয়া ফস একটি এক নম্বর ঔষধ। বুদ্ধি প্রতিবন্ধি (mental retard) বা অটিজমে (autism) আক্রান্ত শিশুদের এটি একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। অনেক শিশু-কিশোরদের পড়াশুনার চাপে অথবা অপুষ্টির কারণে স্মরণশক্তি কমে যায় ; ব্রেন ঠিক মতো কাজ করে না (Brain-fag)। ফলে কিছুই মনে রাখতে পারে না। যা পড়ে সব ভুলে যায় (Low memory)। এই সমস্যায় ক্যালকেরিয়া ফস যাদুর মতো কাজ করে। এজন্য প্রতিটি বাষিক পরীক্ষার পূবে শিশু-কিশোরদের দুয়েক সপ্তাহ ক্যালকেরিয়া ফস খাওয়ানো উচিত। যাতে পরীক্ষার সময় পড়াশোনার অত্যধিক চাপে স্মরণশক্তি কমে গিয়ে রেজাল্ট খারাপ না হয়।
আবার অনেক মহিলার বুকের দুধের স্বাদ থাকে বিকৃত। কারো দুধ হয় নোনতা (salty) আবার কারোটা বেশী মিষ্টি। এসব দুধ শিশুরা খেতে চায় না কিংবা খেলেও বমি করে ফেলে দেয়, শিশুরা ডায়েরিয়া-আমাশয়-বদহজম ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ক্যালকেরিয়া ফস ঔষধটি মায়েদের খাওয়ালে তাদের বুকের দুধের স্বাদ ঠিক হয়ে যায় এবং তখন আর শিশুরা খেতে অস্বীকার করে না এবং শিশুদের পেটও খারাপ হয় না। ক্যালসিয়াম ফসফেট থেকে তৈরী এই হোমিও ঔষধটির তেমন কোন ক্ষতিকর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নাই। এমনকি ভুলবশত যদি নির্দিষ্ট মাত্রার চাইতে দশ গুণ বেশীও কেউ খেয়ে ফেলে, তাতেও কোন ক্ষতির আশঙ্কা নাই। প্রথমে.....
ঔষধের শক্তিকিভাবে তাহা বাড়ানো কমানো যায়
হোমিওপ্যাথির জনক মহাত্মা হ্যানিম্যান অর্গাননের ২৭৫ হইতে ২৭৯ নং সুত্রে ঔষধের মাত্রা সম্বন্ধে তাহার বক্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন । ঔষধ নির্বাচন ঠিক না হইলে যেমন রোগ সারে না, ঔষধের মাত্রা যদি যথেষ্ট ক্ষুদ্র না হয় তাহা হইলে ঔষধ সুনির্বাচিত হইলেও কোন সুফল আশা করা যায় না । সদৃশনীতি অনুসারে নির্বাচিত ঔষধের মাত্রা যদি পরিমাণে বেশী হয় তাহা হইলে রোগের অবাঞ্ছিত বৃদ্ধিই হইয়া থাকে । আরও....
হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাত্রা লইয়া এ পর্যন্ত অনেক আলোচনা হইয়া গিয়াছে, এখনও শেষ কথা বলা হয় নাই । মাত্রা বলিতে ঔষধের পরিমাণই বুঝা যায়, শক্তির প্রশ্ন এখানে আসে না । পরিমাণ আবার নির্ভর করে আয়তনের উপর । সুতরাং মাত্রা – পরিমাণগত, তাহা নির্ভর করে ঔষধের বাহক যেমন অনুবটিকার সংখ্যা ও আয়তন এবং সুরাসার ও জলের পরিমাণের উপর ।
কিন্তু শক্তি হইল গুণগত । একই শক্তির ঔষধের মাত্রাকে হ্রাসবৃদ্ধি করা যায় তাহার পরিমাণ বা আয়তনকে কমাইয়া বা বাড়াইয়া । সেইজন্য মাত্রা ও শক্তির অর্থ এবং তাহাদের প্রভেদ সম্বন্ধে একটা স্পষ্ট ধারনা থাকা প্রয়োজন । অনেকে মনে করেন, ঔষধের ক্রিয়া যখন গুণগত তখন তাহার পরিমাণ বা আয়তন যাহাই হউক তাহাতে কিছু আসে যায় না, দুইটি অনুবটিকার স্থলে দুই ফোঁটা ঔষধ – একই কথা । কিন্তু হ্যানিম্যান ঔষধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে শক্তি ও মাত্রা – এই উভয় দিকেই দৃষ্টি দিবার উপদেশ দিয়াছেন, এই বিষয়ে কোন সংশয় নাই ।
সদৃশনীতি অনুসারে নির্বাচিত ঔষধের মাত্রা বা পরিমাণ যত বেশী হইবে তত বেশী অপকারের সম্ভাবনা । এই সম্বন্ধে হ্যানিম্যান বিশেষভাবে অবহিত হইতে বলিয়াছে । একথাও তিনি বলিয়াছে, সদৃশ নহে এমন এলোপ্যাথিক ঔষধের বেশী মাত্রা যতটা না ক্ষতি করে সদৃশ লক্ষণানুযায়ী সুনির্বাচিত ঔষধের মাত্রা যদি অধিক হয় তাহা হইলে অধিকতর ক্ষতিসাধন করে । তাহা ছাড়া সুনির্বাচিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ যদি পুনঃপুনঃ প্রয়োগ করা হয় তাহা হইলে তাহা রোগকে জটিল ও দুরারোগ্য করিয়া তোলে । তাহাতে প্রাকৃতিক রোগ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় বটে কিন্তু ঔষধজ রোগ উৎপন্ন হইয়া রোগী অধিকতর কষ্ট পায় । এই সকল রোগীকে প্রতিষেধক ঔষধ দিয়াও আরোগ্যের পথে আনা দুঃসাধ্য ।
সুতরাং হ্যানিম্যানের শিক্ষা হইল
==================
১ > সুনির্বাচিত ঔষধের ক্ষুদ্রতম মাত্রা ব্যবহার করিতে হইবে । হ্যানিম্যানের মতে একটি অনুবটিকাই ক্ষুদ্রতম মাত্রা । তাহার স্থলে পাঁচ ছয়টি অনুবটিকা বা তরল ঔষধের একাধিক ফোঁটা বৃহৎ মাত্রা । এইরূপ একটি অনুবটিকা জলে দ্রবীভূত করিয়া তাহাই হ্যানিম্যান ব্যবহার করিতে বলিয়াছে ( সুত্র ২৪৮ ) ।
২ > নিন্মশক্তির বৃহৎ মাত্রা অপেক্ষা উচ্চশক্তির বৃহৎ মাত্রা অধিকতর ক্ষতিকর ।
৩ > ঔষধ সঠিক নির্বাচিত হইলেও রোগ অসাধ্য হইয়া উঠিতে পারে এইজন্য পুনঃপুনঃ ঔষধ প্রয়োগ নিষিদ্ধ ।

এলোপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়াতে প্রত্যেকটি ঔষধের মাত্রা নির্দিষ্ট করা আছে ও সেই বাঁধাধরা নিয়মে ঔষধের ব্যবস্থা করা হয় । কিন্তু হোমিওপ্যাথিক মতে সেইরূপ ছককাটা ব্যবস্থা চলে না । বিভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে একই শক্তি চলে না, কাহাকেও নিন্মশক্তি কাহাকেও উচ্চশক্তি দিতে হয়, সেইরূপ মাত্রারও হ্রাসবৃদ্ধি করা প্রয়োজন হয় । এইরূপ মাত্রা ও শক্তিনির্ণয় রোগীর সহিষ্ণুতা, অনুভুতিপ্রবণতা এবং যান্ত্রিক ক্ষয়ক্ষতির উপর নির্ভর করে । ইহা নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের ধৈর্য, বিচারশীলতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় । ইহা পূর্ব হইতে কোন বাঁধাগতে নিরূপণ করা যায় না । হ্যানিম্যান নিশ্চয়তার সহিত ইহা বলিয়াছে যে দেহের কোন প্রয়োজনীয় যন্ত্র যেমন, ফুসফুস, মস্তিস্ক, যকৃৎ প্রভৃতি যদি গুরুতরভাবে ক্ষয় ও ক্ষতিগ্রস্ত না হইয়া থাকে তাহা হইলে ঔষধের মাত্রা যতই ক্ষুদ্র হউক না কেন তাহা সদৃশ নীতি অনুসারে প্রযুক্ত হইলে কার্যকরী হইবেই । শরীরের অভ্যন্তরের প্রধান যন্ত্রসমূহ ক্ষয় ও ক্ষতি যেমন হোমিওপ্যাথিক ঔষধের ক্রিয়ার পথে অন্তরায় তেমনি চিকিৎসাকালে ভেষজগুনবিশিষ্ট দ্রব্যাদির ব্যবহারও ঔষধের ক্রিয়াকে ব্যাহত করে । আজকাল অধিকাংশ লোক কোন না কোন নেশার বশবর্তী । চা প্রায় সকলেই পানীয়রূপে ব্যবহার করে, অনেকে ধূমপান করিয়া থাকে ও নস্য লইয়া থাকে এবং কেহ কেহ আফিম সেবন করিয়া থাকে ।
মেয়েদের মধ্যে পানদোক্তার ব্যবহার অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় । তাহা ছাড়া কর্পূরাদিযুক্ত ঔষধ ও মালিশ, টুথপেস্ট, রাসায়নিক উপাদানে প্রস্তুত সিন্দুর, আলতা প্রভৃতি এখন নিত্য ব্যবহার্যের মধ্যে পরিগণিত । ঔষধ-গুনবিশিষ্ট এইসব উপকরণ ঔষধের ক্রিয়া প্রকাশের পথে বাধা সৃষ্টি করে বলিয়া যতদূরসম্ভব সেইগুলিকে বর্জন করিয়া চলা উচিত । যে সকল শিশু স্তন্যপায়ী তাহাদের চিকিৎসায় মায়ের খাদ্যাখাদ্য বিচার করিয়া চলিতে হয় এবং কোন অবাঞ্ছিত নেশা যেমন অতিরিক্ত চা, পান-দোক্তা, জর্দা প্রভৃতি খাওয়া বন্ধ না করিলে স্তন্যপায়ী শিশুদের চিকিৎসায় সুফল পাওয়া কঠিন হয় ।
কারণ শিশুর খাদ্য মাতৃদুগ্ধ যদি দুষিত হয় তাহা হইলে তাহা কখনও শিশুর কল্যাণপ্রদ ও পুষ্টিবিধায়ী হইতে পারে না । বর্তমান যুগে চিকিৎসার পথে অন্তরায় এই সকল কদভ্যাস সর্বতোভাবে বর্জন করা সম্ভব হয় না, কিছু মানিয়া লইয়াই চিকিৎসা চালাইয়া যাইতে হয় । ঐ সকল ভেষজধর্মী দ্রব্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধের স্বল্প মাত্রার সূক্ষ্মক্রিয়াকে নষ্ট করিয়া দেয় বলিয়া চিকিৎসায় ইন্সিত ফললাভ ত্বরাম্বিত হয় না । প্রথমে.....
বিশুদ্ধতা কমছে হোমিও ওষুধে, শিক্ষা ব্যবস্থায়ও গলদ
এলোপ্যাথি চিকিৎসা যেমন ব্যয়বহুল তেমনি দুঃসাধ্য। পক্ষান্তরে হোমিও চিকিৎসা সুলভ সহজসাধ্য ও দরিদ্রবান্ধব। মেটেরিয়া মেডিকা, রেপার্টরি, অর্গানন, নিয়মনীতি, সার্জারী, কিংবা প্যাথলজির জ্ঞান প্রয়োগ করে এবং নির্ভেজাল ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে অনেক দুরারোগ্য রোগ নির্মূল করা সম্ভব। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে একে আধুনিকায়ন করা এখন সময়ের দাবী। আরও পড়ুন..

সেবার ব্রত নিয়েই হোমিওপ্যাথী চিকিৎসা পেশায় আসেন চিকিৎসকরা। কিন্তু পুঁথিগত বিদ্যার্জনের পর সেই জ্ঞান রোগীর শরীরে প্রয়োগকালে যদি যথোপযুক্ত ওষুধের অভাব পরিলক্ষিত হয়, তবে সমস্ত অর্জনই ব্যর্থতাই পর্যবসিত হয়। যে চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে আধুনিককালের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রসার, সেই হোমিও চিকিৎসা আজ শুধুমাত্র মানহীন ওষুধের কারণে মানুষের আস্থা হারাতে বসেছে।
বাংলাদেশের সাথে পার্শ¦বর্তী দেশ ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থায় রয়েছে বিশেষ পার্থক্য। একাডেমিক ক্ষেত্রেও এই পার্থক্য বিরাজমান। চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি হোমিও ওষুধ ব্যবসা মহান পেশা হলেও একশ্রেণির অর্থলোভী মানুষের কারণে এর দায় নিতে হচ্ছে চিকিৎসক সমাজকেও। চলতি বছরেই চট্টগ্রামের দুইজন হোমিও চিকিৎসককে ভেজাল ওষুধ তৈরীর দায়ে গ্রেপ্তার করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চিনি-আটার সাথে কেমিক্যাল মিশিয়ে গর্ভবতী মায়েদের জন্য ওষুধ তৈরি করে আসছেন তারা। তবে ল্যাব টেস্টে তা প্রমাণিত হয়েছে কিনা সেটা পরবর্তীতে আর নিশ্চিত করা হয়নি, এমনকি এই দুই চিকিৎসক কোন ষড়যন্ত্র বা কারো ইন্ধনে এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন কিনা-তাও আর জানা হয়নি। সেদিন তাদের ছয় মাসের জেল দেয়া হয়েছিল। এর পরের ঘটনা ছিল বেদনাদায়ক। পরিবারের উপার্জনক্ষম দুই চিকিৎসকের হঠাৎ সৃষ্ট এমন পরিণতিতে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। সম্প্রতি পুরাতন গির্জায় হোমিও ওষুধের ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়েছে, সিলগালা করেছেন কিছু ফার্মেসীও। হোমিও পটেন্সি, মাদারটিংচার, বায়োকেমিক, ট্রাইটুরেশন ওষুধে সাধারণত মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ থাকে না কারণ এগুলো মিশ্র কিংবা স্থুল নয়। প্রতিটা ওষুধে একক বৈশিষ্ট্য একক মাত্রা বিদ্যমান। হোমিও নিয়মনীতি, ফার্মাকোপিয়া, শক্তিও মাত্রাতত্ত্ব, অর্গানন নিয়মানুযায়ী দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। পক্ষান্তরে এলোপ্যাথি ওষুধ স্থুল ও মিশ্র বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি বিধায় এর উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখের প্রয়োজন রয়েছে।
হোমিও চিকিৎসায় ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে অনেকে হারবাল ব্যবসা করে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। হোমিও শাস্ত্র কেবল সিঙ্গেল রিমেডি বা একমাত্র একটি ওষুধকে সমর্থন করে। কাজেই এখানে হারবাল কিংবা প্যাটেন্টকে কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না। এই চিকিৎসায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা একেবারে নেই, নেই কোন ব্যবস্থাপনা। তাই হোমিও ওষুধ ব্যবসায়ীরা যার যার ইচ্ছামত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে হোমিও ব্যবসায় বিশুদ্ধতা কমছে। ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় ভেজাল ওষুধের ব্যবসা করছে। এদের কারণে বদনাম হচ্ছে প্রকৃত চিকিৎসকদের। এমনই একজন আমার পিতা ডা. গোপাল চন্দ্র দাশ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে জয়ী হয়েছিলেন, কিন্তু জীবন যুদ্ধে তিনি চরমভাবে পরাজিত। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেও তিনি সার্টিফিকেট ফিরিয়ে দিয়েছেন। চাকরি ছেড়ে দিয়ে মানুষকে বিনামূল্যে হোমিও চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন প্রায় ৪০ বছর। কিন্তু এর পরিনামে পেয়েছেন অশেষ লাঞ্ছনা। সততার মূল্য হিসেবে হারাতে বসেছেন পটিয়ার বাগদণ্ডী গ্রামের জমিও। পিতার মতে, বর্তমানে হোমিও ওষুধ বেশি পরিমাণে ভেজাল হওয়াতে ভালো চিকিৎসকরা বিশুদ্ধ ওষুধ ছাড়া রোগীকে পরিপূর্ণ সুস্থ করতে পারছেন না।
চট্টগ্রামে একাধিক আমদানীকারক না থাকায় হোমিও ওষুধের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ানো হয়। এই ওষুধ প্রধানত আমদানি হয় জার্মানির উইলমার সোয়েব, আমেরিকার বোরিক ট্যাফেল (বিটি), ভারতের ব্যাকসন, হ্যানিম্যান, এসবিএল, পাকিস্তানের কেন্ট ও সুইজারল্যান্ড থেকে। অথচ সিএম পাওয়ারের ওষুধের লেবেল লাগিয়ে নিম্ন শক্তির ওষুধ বিক্রির করছে ব্যবসায়ীরা, আর দাম নিচ্ছে উচ্চ শক্তির। ইনট্যাক্ট সিল ফাইলগুলো রোগীদের ওপর ব্যবহার করে সুফল পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ চিকিৎসকদের। পটেন্সি, বায়োকেমিক, মাদার টিংচার, ট্রাইটুরেশান ওষুধ কিংবা উচ্চশক্তির প্রতি ড্রাম/আউন্সে নিম্ন শক্তির ওষুধ বিক্রি করে প্রতিনিয়ত ঠকানো হচ্ছে হোমিও চিকিৎসক তথা রোগীকে। দেখা গেছে, জার্মানি উইলমার সোয়েবের লেবেল ছাপাখানায় ছাপিয়ে তাতে ভেজাল ওষুধ ভরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশীয় হোমিও ল্যাবরেটরির মাদার টিংচার বোতল থেকে লেবেল উঠিয়ে সেখানে ভারতের হ্যানিমান হোমিও ল্যাবরেটরি নামে লেবেল দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে অবাধে। ভারতে প্রস্তুতকৃত জার্মানির উইলমার শোয়েবের লেবেল ছাপানো হচ্ছে দেশীয় ছাপাখানায়। অথচ গ্রাহকদের কাছে এই ওষুধ প্রকৃত জার্মানির ওষুধ হিসেবে চড়া দামে গছিয়ে দেয়া হচ্ছে। আরো অভিযোগ রয়েছে, হোমিও ওষুধ ব্যবসায়ীরা ড্রাগ লাইসেন্স নিয়ে বিশুদ্ধ সুরাসার আরএস বিক্রির জন্য অনুমতি নিলেও তাদেরকে সাপ্তাহিক, মাসিক হারে মাসোহারা দিতে হয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মচারীকে। হোমিও ওষুধ সংরক্ষণের মাধ্যমগুলো হল বিশুদ্ধ সুরাসার গ্লোবিউলস বা পিল, শঠি।
বিশ্ববাজারে মূল্য বৃদ্ধি এবং ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে প্রতিটা হোমিও ওষুধের দাম ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। এ অবস্থায় সরকারী ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের অভাবে দেশীয় হোমিও ওষুধ ল্যাবরেটরিগুলো যথাযথ মানসম্পন্ন হয়ে উঠতে পারেনি। গড়ে উঠেনি সরকারি হোমিওপ্যাথী গবেষণাগারও। এসব ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে নেই কোন অভিজ্ঞ রসায়নবিদ। বর্তমানে জার্মানির পটেন্সির এক ড্রাম ওষুধ শিশিতে কিছুদিন রাখার পরে দেখা যায়, সেই ওষুধের রং হলুদ হয়ে যায়। কিন্তু পূর্বে জার্মানির হোমিও ওষুধ এভাবে হলুদ রং ধারণ করতো না। বর্তমানে কিছু কিছু জীবন রক্ষাকারি ওষুধও দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা ওষুধে ভেজাল করে গ্রাহকদের ঠকাচ্ছেন। আবার অনেক ব্যবসায়ীর ফার্মাকোপিয়া সম্পর্কে নেই কোন অভিজ্ঞতা। জার্মানীর চোখের ড্রপ সিনেরিয়া মেরিটিমা অনেক চক্ষু বিশেষজ্ঞ, সার্জনরা ব্যবস্থাপত্রে লিখে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে পূর্বের ন্যায় এটির মান কমেছে এবং দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। ভারতের প্রস্তুতকৃত উইলমার সোয়েবের ওষুধ প্রকৃত জার্মানীর বলে দাম নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত হারে। আবার জার্মানীর বোতলে ভারতের ওষুধ রাখা হচ্ছে, ভারতের বোতলে দেশীয় ওষুধ রেখে বিক্রি করা হচ্ছে অবাধে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সম্প্রতি এক সভায় বলেছেন, হোমিও কলেজগুলোতে যেনতেনভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। কথাটি একপ্রকার সত্য হলেও এর পেছনে কথা থেকে যায়। যারা চিকিৎসাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান এবং সাধারণত যাদের লক্ষ লক্ষ টাকা দেয়ার ক্ষমতা নেই তাদের অনেকে কিংবা শখের বশে কেউ কেউ ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যাণ্ড সার্জারী (বিএইচএমএস) বা ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যাণ্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। বিএইচএমএস কোর্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন। আর ডিএইচএমএস কোর্স হোমিওপ্যাথিক বোর্ড এর অধীনে পরিচালিত হয়। বিএইচএমএস কোর্স চট্টগ্রামে চালু করার ব্যাপারেও কোন উদ্যোগ নেই। চট্টগ্রামে তিনটি বেসরকারী হোমিও কলেজ রয়েছে, যেখানে শুধুমাত্র ডিএইচএমএস কোর্স চালু রয়েছে। চার শিক্ষাবর্ষ এবং এক বছর ইন্টার্নিশীপসহ মোট পাঁচবছর অধ্যয়ন শেষেই পাওয়া যায় সনদ। অথচ এসব হোমিও কলেজগুলোতে মানহীন শিক্ষা দেওয়া হয়। অনেক শিক্ষার্থী সারাজীবন ক্লাস না করে শুধুমাত্র পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দিয়ে ডিএইচএমএস সার্টিফিকেট লাভ করেন। ঢাকায় সরকারি হোমিও কলেজ থাকায় সেখানকার তুলনায় চট্টগ্রাম হোমিও শিক্ষা চিকিৎসা শিক্ষায় পিছিয়ে রয়েছে। এখানে সরকারিভাবে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করা হয় না হোমিও বিজ্ঞান নিয়ে। বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সংগঠনগুলোর নামেমাত্র উদ্যোগ ছাড়া আর কোন প্রকার কাজ চোখে পড়ে না। এছাড়া সারাদেশের হোমিও কলেজগুলোতে মেধাভিত্তিক বৃত্তির কোন ব্যবস্থা নেই। শিক্ষকদের সম্মানিও যথাযথ যোগ্যতা অনুসারে দেওয়া হয় না। কলেজগুলোতে নেই লাইব্রেরী, আধুনিক ল্যাবরেটরীসহ কোন আধুনিক ব্যবস্থা। ইন্টার্নশীপ করতে হয় দায়সাড়াভাবে। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অর্ডিনেন্স-১৯৮৩এর বিধান অনুসারে ডিএইচএমএস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। একজন হোমিও চিকিৎসকের কর্তব্য বিষয়ক নিয়মাবলি ১৯৮৩ ইং ২৫ আগস্ট প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের অর্ডিনেন্স সেকশন ৩৪ পৃষ্ঠা ৫৩১৫ এর সার-সংক্ষেপে বর্ণিত রয়েছে। সার্টিফিকেট পাওয়া গেলেই শুধু একজন ভাল চিকিৎসক হওয়া যায় না। লক্ষণ সমষ্টির জ্ঞান, শক্তি ও মাত্রাতত্ত্ব বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হলে বিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্র্যাকটিস করা চাই।
হোমিও বোর্ড ঢাকা থেকে ডিএইচএমএস সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট উত্তোলন প্রক্রিয়া জটিল এবং সময় সাপেক্ষ। হোমিও কলেজের সিলেবাসও যুগোপযোগি করে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা জরুরি। কারণ হোমিও শাস্ত্র যেমনি বিরাট, তেমনি দুরায়ত্তকর। এখানে সাধনা যেমন প্রয়োজন তেমনি চিকিৎসা শাস্ত্রের অনেকখানি জুড়ে রয়েছে ব্যবহারিক প্রয়োগবিদ্যা। প্রত্যেক চিকিৎসককে রোগীর রোগের লক্ষণ, ওষুধের লক্ষণ এবং জীবনি শক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে সুচিকিৎসা দিতে হয়। হোমিওপ্যাথির উল্লেখযোগ্য নিয়মনীতিগুলো হল : সদৃশ নিয়মে চিকিৎসা-সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টার (সদৃশ দ্বারা সদৃশ আরোগ্য করা), ওষুধ পরীক্ষণ, ওষুধের গতিশক্তি সৃষ্টিকরণ বা শক্তিকরণ, একক ওষুধ, একক মাত্রা, সূক্ষ্ম বা ক্ষুদ্রতম ও পরিবর্তিত মাত্রা, রোগীর ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ও ওষুধের সত্তা-স্বাতন্ত্র্য নির্ণয় এবং রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা, রোগীর আংশিক বা আংগিকভাবে নয় সামগ্রিকভাবে চিকিৎসা করা। এজন্য হোমিও শিক্ষা ও চিকিৎসার মানোন্নয়নে সরকারি বরাদ্দ প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের মানোন্নয়নে এগিয়ে আসতে পারে। প্রতিটি হোমিও ওষুধ মানবদেহের উপর প্রয়োগ করে পরীক্ষা করেছিলেন জার্মানির এমডি ডিগ্রিধারী গবেষক ও আবিষ্কারক ডা.হ্যানিম্যান। এলোপ্যাথির স্থুল ওষুধের ক্ষমতা সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর করতে গিয়ে তিনি এটমিক পাওয়ার আবিষ্কার করলেন, যাকে তিনি হোমিও ওষুধেকে শক্তিকরণে রূপ দেন। হোমিও ওষুধ ব্যবসায়িক নামে নয় শাস্ত্রীয় নামে পরিচিত। ১৭৯০ সালে ডা. উইলিয়াম কালেনের “এ ট্রিয়েটিস অন ম্যাটিরিয়া মেডিকা” ইংরেজি থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করতে গিয়ে কম্প জ্বরের ওষুধ সিংকোনা বা পেরুভিয়ান বার্ক বা চায়না পাকস্থলীর উপর বলকারক ক্রিয়া প্রকাশ করে জ্বর ভালো করে থাকে-এই তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। ডা. হ্যানিম্যান এই পেরুভিয়ান বার্ক বা সিংকোনাকে স্থুল থেকে সূক্ষ করতে করতেই হোমিওপ্যাথি আবিষ্কার করেন। এভাবে তিনি মানবদেহে প্রায় একশ ওষুধ পরীক্ষা করে এর লক্ষণাবলী মেডিরিয়া মেডিকা পিউরাতে লিপিবদ্ধ করেছেন। ডা. হ্যানিম্যান ফ্রাগমেন্টা দ্য ভিরিবাস, অর্গানন অব মেডিসিন, ম্যাটিরিয়া মেডিকা পিউরা, ক্রনিক ডিজিজেস (ব্যবহারিক অংশ) রচনা করে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেন। খনিজ, উদ্ভিজ্জ, রোগজ, গ্রন্থিজ, শক্তিজ, প্রাণিজ উপাদান থেকে এই ওষুধ তৈরি হয়। কিন্তু ভেজাল ওষুধ ব্যবসায় জড়িত অনেক চিকিৎসক বর্তমানে এলোপ্যাথিক চিকিৎসকের মতো রোগীদেরকে অযথা প্যাথলজি টেস্ট দিয়ে হয়রানি করছে। পাশাপাশি তাদের দেয়া ভেজাল ও ভুল ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ঘটতে পারে প্রাণহানী। শুধু হোমিও চিকিৎসায় নিয়মনীতি থাকলে হবে না, হোমিও ওষুধ ব্যবসায়ও নিয়মনীতি থাকা চাই। বর্তমান সরকার হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানে উন্নয়নে বিশেষ আশার বাণীও শুনিয়েছেন-এটা কম আশার কথা নয়। তাই হোমিও ওষুধের উপর শুল্কহার কমিয়ে আমদানির অবাধ সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। এজন্য বন্দর-কাষ্টমসে হোমিও ওষুধ আমদানি পণ্য শুল্কায়ন/ছাড়করণ প্রক্রিয়া সহজ করার নির্দেশনা দেওয়া দরকার। বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠির চিকিৎসা সেবার কথা চিন্তা করে হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানকে যুগোপযোগী করে তোলার বিকল্প নেই। এলোপ্যাথির ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই একমাত্র হোমিও চিকিৎসাই পারে দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে রোগের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে। হোমিও চিকিৎসায় প্যাথলজির সাহায্য ছাড়াই রোগ নির্ণয় করে রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। প্রথমে পড়ুন.
ভ্যাক্সিন বা টীকার কুফলসুস্থ সুন্দরভাবে বাঁচতে চাইলে টীকা নেওয়া থেকে বিরত থাকুন
ভ্যাক্সিন দেহে শতশত রোগ সৃষ্টি করতে পারে।টিউমার ,আচিল ,দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া ,সর্দিকাশি ,ক্যান্সারসহ শতশত রোগ। এবার আসছি মূল আলোচনায়।বিশিষ্ট হোমিও চিকিত্সকগণ ভ্যাক্সিন সম্পর্কে ভয়াবহ তথ্য দিয়েছেন।তাঁদের মতে ভ্যাক্সিনের কুফল অত্যন্ত মারাত্নক।তাঁদের মতে- আরও পড়ুন.
ভ্যাক্সিন বা টীকার কুফলে দেহে ভ্যাক্সিন মায়াজম নামক একটি বিশেষ মায়াজমের সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রামের বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথ অধ্যক্ষ ডা.আবদুল করিম মহোদয় ভ্যাক্সিনের কুফল সম্পর্কে বলেন-"ভ্যাক্সিন দেওয়া মানে এক ডাকাতদলের হাত থেকে গৃহ রক্ষার জন্য আরেকদল ডাকাত নিয়োগ করা।" নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যবহৃত ডাকাতদল দ্বারা গৃহকর্তা যে আক্রান্ত হবেনা তারইবা গ্যারান্টি কোথায়। টীকা গ্রহণ করাও তেমন ব্যাপার।কিছু রোগকে ঠেকাতে দেহের মধ্যে মারাত্মক কিছু রোগকে আক্রমণের সুযোগ করে দেওয়ার নামান্তর।তাই ,সবার প্রতি পরামর্শ টীকা গ্রহণ করা থেকে নিজে বিরত থাকুন ,অন্যদেরকেও টীকার কুফল সম্পর্কে অবহিত করুন।
হোমিওপ্যাথগণ আমাদেরকে শুধু টীকার কুফল সম্পর্কে অবহিতই করেননি।বরং টীকার কুফল দূর করতে হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধানও আবিষ্কার করেছেন। হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে টীকার কুফল নষ্ট করার জন্যে বিশেষ ধরণের ঔষধ ,যে ঔষধগুলো এন্টিভ্যাক্সিন ঔষধ হিসেবে সুপরিচিত।যেমন-থুজা,সাইলিসিয়া,এন্টিম টার্ট,হিপার,আর্সেনিক,এপিস, মেজিরিয়াম,ভ্যাক্সিনিনাম, ম্যালেন্ড্রিয়াম,ইচিনেসিয়া ইত্যাদি। রোগিলিপি প্রণয়ণের সময় রোগীর অতীত ইতিহাসে টীকা দেওয়ার ইতিহাস পাওয়া গেলে টীকার কুফল দূর করতে লক্ষণ সাদৃশ্যে উপরোক্ত ঔষধগুলো থেকে প্রয়োগ করতে হবে। লক্ষ্য করুন,টীকা বিষাক্ততায় রোগীরা আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখে। আবার,টীকাজনিত কারণে দেহে সাইকোসিস অবস্থাও সৃষ্টি হতে পারে।উপরে বর্ণিত স্বপ্নটিও সাইকোসিসের স্বপ্ন। আমরা জানি,আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখে থুজার রোগীরা এবং থুজা একটি এন্টিসাইকোটিক ঔষধ,যেটিকে কিংসাইকোটিক হিসেবে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া টীকার কুফলে দেখা দেওয়া দন্তক্ষয় এবং টিউমারের মত লক্ষণও থুজা উৎপন্ন করতে সক্ষম।এসকল কারণে টীকার কুফলনাশক ঔষধগুলোর মধ্যে থুজাকেই সর্বশ্রেষ্ঠ ঔষধ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। টীকার কুফলে সৃষ্ট বিশেষ মায়াজমেটিক অবস্থায় অনেক সময় উপযুক্ত ঔষধও ব্যর্থ হতে থাকে।এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এন্টিভ্যাক্সিন ঔষধ প্রয়োগ করে আরোগ্যের পথের বাঁধা দূর করতে হবে। অনেকে বলতে পারেন ,টীকা দিতে নিষেধ করা হচ্ছে কিন্তু রোগপ্রতিরোধে টীকার কুফলবিহীন কোন ব্যবস্থা হোমিওপ্যাথিতে আছে কী ? -সুখের বিষয় হল,রোগপ্রতিরোধের জন্য হোমিওপ্যাথিতে অত্যন্ত চমত্কার পদ্ধতি রয়েছে।হোমিও গবেষকদের মতে,মানুষের দেহে রোগপ্রবণতা বিরাজ করতে থাকে।কারো ক্ষেত্রে এ প্রবণতা বেশি ,কারও ক্ষেত্রে কম।এ প্রবণতাকে হোমিওপ্যাথিক ফিলিসোফিতে বলা হচ্ছে-"সাসসেপটিবিলিটি"।এ সাসসেপটিবিলিটি বা প্রবণতা দূর করতে পারলেই মানুষের দেহ ও মন নির্মল হয় এবং রোগের আক্রমণ থেকে রেহাই পায়।মানুষের দেহের রোগপ্রবণতা দূর করার জন্য হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে কনিস্টিটিউশনাল ট্রিটমেন্ট।কনিস্টিটিউনাল ট্রিটমেন্টের জন্যও রয়েছে অসংখ্য ঔষধরাজী।
-----------অতএব সুস্থ সুন্দরভাবে বাঁচতে চাইলে টীকা নেওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং হোমিওপ্যাথির দারস্ত হোন। প্রথমে.....
 
 
বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র
নিম্নলিখিত রোগ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দ্বারা হোমিওপ্যাথি করা যায়:
১. মাইগ্রেন
২. নাকসংক্রান্ত এলার্জি
৩. সাইনাসের প্রদাহ
৪. টন্সিলের প্রদাহ
৫. শ্বাসকষ্ট এবং হাঁপানি
৬. চুলের সমস্যা/চুল পড়া
Read More >>
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
 
     
 
 
 
কপিরাইট © ২০১৬ মো: আম্মার আব্দুল্লাহ দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । ডিজাইন এবং নির্মাতা মো: আম্মার আবদুল্লাহ